শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারপিটে যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারপিটে এক যুবদলের সাবেক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার আদিখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ সরদার (২৭) চিতলমারি উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সন্তোষপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন। বছর দেড়েক আগে আদিখালি গ্রামের দীলু মাঝির মেয়ে ছনিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোহাগ বুধবার শ্বশুরবাড়ি ছিলেন। সেখানে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এরপর মুখে বিষ দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরমধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহাগের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী ছনিয়া আক্তার, শ্বশুর দিলু মাঝিসহ ওই পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে মারধরের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রজো পাইক নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেয় নিহতের পরিবার। এখন তিনি পুলিশ হেফাজতে।
সোহাগের বোন রেখা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। ফলে সোহাগ তার স্ত্রীকে নিয়ে চিতলমারীতে আলাদা ভাড়া থাকতেন। এর আগেও স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোহাগকে মারধর করেন। হাসপাতালেও ভর্তি করা লেগেছে। আর গতকাল তো একেবারে আমার ভাইকে মেরে ফেললো। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।
নাহিদ ফরাজী/জেডএইচ/জিকেএস