‘ভর্তি হওয়ার পরে সবার বিয়ে হয়ে গেছে, তাই পাস করেনি কেউ’
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে পঞ্চগড় জেলার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো নন-এমপিওভুক্ত।
বৃহস্পতিবার ( ১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফল থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, যার মধ্যে ৪ জন অনুপস্থিত ছিলেন। মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন একজন, আর আলহাজ তমিজ উদ্দীন কলেজ থেকে অংশ নেন চারজন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে দুজন অনুপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।
শতভাগ ফেল করার বিষয়ে বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নার্গিস পারভিন মৌসুমী বলেন, ভর্তি হওয়ার পরে সবার বিয়ে হয়ে গেছে এজন্য কেউ পাস করতে পারেনি।
মাড়েয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সপেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমাদের কলেজ শাখা এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। কয়েক বছর ধরে এখানে কোনো শিক্ষক নেই। এজন্য একজন পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস করতে পারেনি।
আলহাজ তমিজ উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী বলেন, আমাদের কলেজের চারজনের মধ্যে দুজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দুজনে পাস করার কথা ছিল। আমরা বোর্ডে চ্যালেঞ্জ করবো।
পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, যে-সব প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি সেসব প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হবে। এই ফলাফলের কারণ খুঁজে বের করে এখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এবারের পরীক্ষায় পঞ্চগড়ে পাসের হার ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। পরীক্ষায় ছয় হাজার ৭১২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী তিন হাজার ২২৬ জন এবং নারী শিক্ষার্থী তিন হাজার ৪৮৬ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে দুই হাজার ৮৯৯ জন। জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১৩ জন শিক্ষার্থী।
সফিকুল আলম/কেএইচকে/জিকেএস