কুমিল্লায় বই খুলে অনার্স পরীক্ষা দেওয়া সেই কেন্দ্র স্থগিত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ফাজিল স্নাতক (অনার্স) পরীক্ষায় শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে বই-খাতা খুলে পরীক্ষার হলে লিখছেন শিক্ষার্থীরা। জাগো নিউজে এই সংবাদ প্রকাশের একদিন পর ওই পরীক্ষা কেন্দ্র স্থগিতসহ স্থানান্তরের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র ও আয়-ব্যয় হিসাবসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ বরাবর এই নোটিশ প্রেরণ করেন।

মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত ফাজিল স্নাতক (অনার্স) পরীক্ষা ২০২৪ এ নকলমুক্ত ও উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্র (কেন্দ্র কোড ৩২২৪) স্থগিত করা হলো। পরবর্তী পরীক্ষাসমূহ কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে (কেন্দ্র কোড ৩২২০) অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদেরকে অবগত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষার্থীদের অলিখিত উত্তরপত্র, পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র ও আয়-ব্যয় হিসাবসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষের কাছে ২৪ ডিসেম্বর এর মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও পরীক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে বই দেখে পরীক্ষার খাতায় লিখার বিষয়ে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসকে লিখিত বক্তব্য জানানোর জন্য বলা হয়েছে।

মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ই-মেইলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশটি পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আজ সকল কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা গোলাম মোস্তফা বলেন, পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব কাগজপত্র আজ রাতেই বুঝিয়ে দেবেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ প্রকাশের পরপরই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেনকে আহ্বায়ক করে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এনএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।