আমরা খেটে খাই; আমাদের কেন এত ভোগান্তি!


প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজনীতি করি না; আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের এতো ভোগান্তি কেন? কী পাপ করেছি যে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। আমাদের কথায় যদি আপনারা এতোই ভাবেন তাহলে একমাস ধরে দেশের এই অবস্থা কেন? এমনই আক্ষেপ করছিলেন ঝিনাইদহে ডাব বিক্রেতা লিটন হোসেন।

ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ডাব বিক্রি করেন তিনি। বাড়ী সদর উপজেলার ভুটিয়ার গাতি গ্রামে। ছোট দুই ভাই ও নিজের দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। সারাদিন ডাব বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়েই কোনো মতে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু টানা অবরোধ আর ঘন ঘন হরতালের কারণে বেচাকেনা ঠিক মতো না হওয়ায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন তিনি।

শহরের বাস টার্মিনালে জাগো নিউজের সাথে সাথে কথা হয় লিটনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি পাঁচ-ছয় বছর ধরে ডাক বিক্রি করি। সারাদিন আমার ৯০ থেকে ১০০টি ডাব বিক্রি হয়। সেখান থেকে আমার আয় হয় ৭ থেকে ৮’শ টাকা। তাতেই চলে সংসার কিন্তু এই অবরোধ আর হরতালে ১০ থেকে ১২টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। আয় হয় মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সংসার চালাবো কীভাবে। না পারছি চুরি করতে না পারছি ডাকাতি করতে। কে আমাদের কথা শুনবে। যার যার কাজে সেই সেই ব্যস্ত, মরতে হচ্ছে আমার মত মানুষের।

শ্রুতি ও সাথী নামে দুই মেয়ে তার। বাড়ীতে গেলেই ছুটে আসে বাবার কাছে। বাজার থেকে কী এনেছে তা নেবার জন্য। কিন্তু আয় কম হওয়ায় সংসার খরচই যোগাড় করা যাচ্ছে না। বাড়তি কী আনবে সে। আর কতোদিন এভাবে চলবে তা জিজ্ঞাসা তার।
রাজনৈতিক এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কোনো পরামর্শ আছে কি না এমন প্রশ্ন ছিল লিটনের কাছে।

তিনি বলেন, যে লঙ্কায় যায় সেই রাবণ হয়। মরতে হয় আমাদের। সকল দলকে একসাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে দেশের এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানান লিটন।

বিএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।