যৌতুক মামলায় এসআই মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এইচএম মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন মাদারীপুরের একটি আদালত। তার স্ত্রী রেজোয়ানা রহমানের যৌতুক নিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় আদালত ওই পরোয়ানা জারি করে।
এসআই মাহমুদ মাদারীপুর শহরের ইউনুস সরদার সড়কের আব্দুল হক হাওলাদারের ছেলে। এই মামলায় তার দুই ভাই মাসুম হাওলাদার ও মামুন হাওলাদার, মা মনোয়ারা বেগম এবং মাসুম হাওলাদারের স্ত্রী আসমা আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।
মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় রেজোয়ানা রহমান উল্লেখ করেন, মাদারীপুর নতুন শহরের শকুনী এলাকায় তাদের বাড়ি। আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর এইচ এম মাহমুদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এসময় নগদ দুই লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং বেশ কিছু মূল্যবান আসবাবপত্র যৌতুক নেন তিনি।
কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারেন মাহমুদ একজন নেশাখোর। এছাড়া আজে-বাজে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তার অনৈতিক কাজে বাঁধা দিতে গেলে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করা হয়।
বিয়ের সময় যে টাকা দেয়া হয়েছিল তা শেষ করে ফেলে মাহমুদ। পরে অন্যান্য আসামির কু-প্ররোচনায় মাহমুদ তার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে দাবি করে।
টাকা দিতে না পারায় নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর সকালে এইচএম মাহমুদ তার পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে যৌতুকের টাকার জন্য মারপিট করে শিশু সন্তানসহ তার বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ওইদিন তিনি আদালতে মামলা করেন।
এদিকে, আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে এসআই এইচএম মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তা মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানায় কর্মরত এসআই এইচএম মাহমুদ জানান, তার সঙ্গে বিয়ের আগে রেজোয়ানার ৩/৪টি বিয়ে হয়েছিল। সব জেনে তার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। ভেবেছিলাম বিয়ের পর সে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ের পর তার স্বভাব চরিত্র বদলায়নি। এরপর রেজোয়ানা বাবা-মার সঙ্গে থাকতেও চায় না। বাধ্য হয়ে ৩১ ডিসেম্বর তাকে তালাক দেয়।
তিনি দাবি করেন, তালাক দেয়ার পর রেজোয়ানা ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। মামলার বিষয়টি ১১ জানুয়ারি জানতে পেরেছি। এখনও কোর্টের আদেশ পাইনি।
মিলন রহমান/এআরএ/এমএস