গাড়ি চলে হেলেদুলে


প্রকাশিত: ০৪:৩২ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

নড়াইল-ফুলতলা সড়কের বেহাল অবস্থা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি ১০ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পিচ-খোয়া উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে নাকাল অবস্থা হয়।

এর উপর দিয়েই হেলে দুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-গোবরা-ফুলতলা সড়কটি ২৮ কিলোমিটার। এর ২৬ কিলোমিটার নড়াইল সওজের অধীনে। বাকি দুই কিলোমিটার অংশ খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার মধ্যে। এই দুই কিলোমিটার খুলনা সওজের অধীনে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান, ইজিবাইক ও অটোরিকশাসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। সড়কের নড়াইল-গোবরা সাত কিলোমিটার অংশ ব্যবহার করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়া যায়।

এতে নড়াইল-নওয়াপাড়া যাতায়াতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াত কম হয়। এদিকে নড়াইল-সিকিরহাট সড়কটি দিয়ে নড়াইল-ফুলতলা ও খুলনা যাতায়াতে প্রায় ২০ কিলোমিটার সাশ্রয় হয়। এ সড়কের আশপাশে গোবরা মহিলা কলেজ, গোবরা মিত্র মহাবিদ্যালয়, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, পার্বতী বিদ্যাপিঠ, প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিঙ্গা-শোলপুর কেপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

Fultala

এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ সড়ক ব্যবহার করে। গোবরা, মির্জাপুর, রুখালী ও চাকই এই এলাকার বড় বাজার। এসব বাজারে পণ্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত মালবোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ সড়কের মির্জাপুর থেকে রুখালী পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এবং চাকই থেকে শুভরাড়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক মোটামুটি চলাচলযোগ্য। অন্য ২৩ কিলোমিটার সড়কে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চালাতে হয় ধীর গতিতে।

গোবরা বাসস্ট্যান্ডের সময় নিয়ন্ত্রক (স্টাটার) মইন মিনা বলেন, নড়াইল থেকে গোবরা পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কে বাস পার হতে ১০ মিনিট সময় লাগার কথা। সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগে। কখনো কখনো বাস, মালবোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান গর্তে পড়ে গেলে দুর্ভোগের আর শেষ থাকে না।
 
সওজের নড়াইল কার্যালয় নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাস জানান, সড়কটি প্রায় ১০ বছর ধরে সংস্কার হয় না। চার-পাঁচ বছর ধরে ফাইল চালাচালি হচ্ছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য ১১৩ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়েছে। এ প্রকল্পের মধ্যে ভৈরব নদের সিকিরহাটে ফেরিও হবে। এবার বোধ হয় বরাদ্দ হবে।

হাফিজুল নিলু/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।