৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পিঠামেলা


প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭

নড়াইলের আমাদা আদর্শ কলেজ চত্বরে দুই দিনব্যাপী পিঠামেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে পিঠামেলার উদ্বোধন করেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান।

কলেজ অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী শাহাজাহান, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আসাদুজ্জামান মন্ডল, আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল কুন্ডু, এবিএনকে আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক রায় প্রমুখ।

এবারের পিঠামেলায় দৃষ্টিনন্দন নকশা আর ভিন্ন স্বাদের ৬৩ প্রকার পিঠা স্টলগুলোতে স্থান পেয়েছে। আমাদা আদর্শ কলেজ শিক্ষার্থীরা ছাড়া আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবিএনকে আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, আমাদা দাখিল মাদরাসা ও আমাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এবারের পিঠামেলা। আমাদা আদর্শ কলেজের আয়োজনে চতুর্থবারের মতো পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আমাদা আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্নি মৃধা বলেন, বিভিন্ন প্রকার পিঠাপুলির আয়োজনে উৎসবমুখর কলেজ প্রাঙ্গণ। হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে আমাদের পিঠামেলা।

মাসুম মোল্যা জানান, তাদের পিঠা স্টলগুলোর নাম-নন্দন, রূপসী, রসের হাড়ি, রসালো, বনফুল, নকশা, মনিকা পিঠাঘর, পড়ে মনে যায়, হালিমের সিমলা, বাহারি ও একটুখানি ইত্যাদি।

এছাড়া শুক্রবার সারারাত জেগে পিঠা তৈরিসহ আজ শনিবার হরদম পিঠা তৈরি চলছে। সাজ্জাদ, শাহরিয়ার, দীপংকর ও মুন্না জানান, এখানে খেজুর পিঠা, দুধরুটি, লাভ পিঠা, ডিম পিঠা, নারিকেল চিড়া, দুধচিতই, রসচিতই, পাতা পিঠা, ফুল পিঠা, ত্রিভূজ পিঠা, গোলাপ পিঠা, তারা পিঠা, পাটিসাপ্টা, দুধপুলি, জিলাপি পিঠা, গোলাপ পিঠা, ঝুরি পিঠা, তাল পিঠা, চুষি পিঠা, বিস্কুট পিঠা, কলা পিঠা, বরফি পিঠা, কুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধকুলি, ধুপি পিঠা, হাত আনদোসা, রসপাকান, খড়েপাকান, ফুলপাকান, পদ্মপাকান, ঝুনঝুনিপাকান, ভাজা পিঠা, তকতি পিঠা, নকশা পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, জজি পিঠা, আদিপাকান, আপেল পিঠা ইত্যাদি।

Narail

পিঠামেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অতিথিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ একত্রিত হয়েছেন। সুমন মন্ডল বলেন, বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। সকাল থেকেই স্টলে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে।

আব্দুর রহমান বলেন, এমন একটি আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। এবিএনকে আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নারগিস সুলতানা বলেন, পিঠামেলায় আমরা অনেক মজা করেছি। এ উৎসব শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মিলন মেলা।

কলেজ শিক্ষক প্রকাশ পাঠক বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐহিত্য টিকিয়ে রাখতে হলে এমন আয়োজন সর্বত্র প্রয়োজন। এ আয়োজন অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সোনিয়া আফরোজ সুমি, ফাতেমা খানম, সবুজ সুলতানসহ দর্শনার্থীরা বলেন, আমাদা আদর্শ কলেজের পিঠা উৎসবে নানা ধরনের পিঠার আয়োজন দেখতে পেলাম। নাম অজানা অনেক পিঠা রয়েছে। একেবারেই ব্যতিক্রমী আয়োজন।

আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি গ্রামবাংলার ঐহিত্য ও সংস্কৃতি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ২০১৪ সাল থেকে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আসছি। প্রতি বছর পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ববোধ বাড়াতে বলে আমাদের বিশ্বাস। ইতোমেধ্যে এর সুফল আমরা পেয়েছি। সবার সহযোগিতায় আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই।

হাফিজুল নিলু/এএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।