ঝুট না দেয়ায় বিকেএমইএ`র পরিচালকের গার্মেন্ট ভাঙচুর,আটক ৪
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় ঝুট না দেওয়ায় একটি গার্মেন্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার সন্ধ্যায় গাবতলী টাগারপার এলাকায় টোকন গার্মেন্টে এ ঘটনা ঘটে। ওই গার্মেন্টের মালিক বিকেএমইএর পরিচালক জাকারিয়া মঞ্জু। পরে গার্মেন্ট মালিক স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে বিষয়টি জানালে তার নির্দেশে পুলিশ, র্যাব ও ডিবির একটি দল গিয়ে ৪ ঝুট সন্ত্রাসীকে আটক করেন।
আটকরা হলেন, পশ্চিম আল আমিনবাগ এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আজিম (২২), আল আমিনবাগ এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম(৩৫), গাবতলী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মিলন(২০) ও একই এলাকার ওয়াজেদ মোল্লার ছেলে ওয়ারিশ মোল্লা (৪৫)।
জাকারিয়া মঞ্জু জানান, গাবতলী এলাকার জিলানীর ছেলে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী উজ্জলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল সন্ধ্যার একটু আগে গার্মেন্টে প্রবেশ করে ঝুট দাবি করে। এতে আমি তাদের ঝুট দেবনা বলে জানিয়ে দেই। এ কথা বলার পরই তারা আমাকে গালাগাল করে গার্মেন্ট এর কাঁচের জানালা ও আসবাপত্র ভেঙ্গে ফেলে প্রতিষ্ঠানের নৈশ প্রহরীদের মারধর করতে থাকে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমি নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে জানাই। তিনি তাৎক্ষণিক র্যাব, পুলিশ ও ডিবির পৃথক তিনটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেন।
এলাকাবাসী জানান, গাবতলী টাগারপাড় এলাকায় গার্মেন্টের ঝুট, মাদক ব্যবসা, ভবন নির্মাণের সামগ্রী দেয়ার ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লিটন ও উজ্জল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে আসছে। প্রকাশ্যে ওই এলাকায় দুই গ্রুপ সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছেনা। ফতুল্লা মডেল থানার একটি সাদা পোষাকদারী টিম রয়েছে। সেই টিমের সাথে ওই দুই গ্রুপের সখ্যতা রয়েছে। যার ফলে এখন একটি গার্মেন্টে তারা হামলা চালাতে সাহস পেয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে র্যাব, পুলিশ ও ডিবির ত্রিমুখী অভিযান চলছে।
এমজেড/আরআই