আ.লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষ হামলা-ভাঙচুর লুটপাট


প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মাগুরার বালিদিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৫৪টি বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাটের পাশাপাশি হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
    
সোমবার দুপুরে বালিদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় আজগর, ফিরোজ মৃধা, মোস্তফা আতিয়ার মোল্লা, উমর শিকদার ও বকুল মোল্লাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া এনামুল, জাকির, ইদ্রিস মিনহা, হান্নান মিনহা, সামাদ মোল্লা, শাহীন, শেফালী, শামসুন্নাহার, ইতি খাতুন, নাজমুল, হালিম, সুমন ও কাজলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বালিদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ মিনা ও ইউনুস শিকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।

সোমবার মফিজ মিনারের ভাতিজি সুমাইয়া প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে অপর আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস শিকদারের সমর্থক পিকুল ও রেবেকা তাকে মারধর করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উভয়পক্ষের সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে হামলাকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় অন্তত ৪ জন রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়।

পরে দুইপক্ষ একে অপরের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এ ঘটনায় ৫৪টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেই সঙ্গে হামলা-পাল্টা হামলায় ১৯ জন আহত হয়। খবর পেয়ে মাগুরার সহকারি পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের  কর্তব্যরত চিকিৎসক(আর.এমও) মো: মকছেদুল মোমিন জাগো নিউজকে জানান, আহতদরে মধ্যে বুলেট বিদ্ধ ইতি খাতুনসহ ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মহম্মদপুর

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আরাফাত হোসেন/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।