প্রাণের উৎসব বৈসাবীতে মিলবে আদিবাসীরা
আদিবাসীদের প্রাণের উৎসব বৈসাবী। পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আদিবাসীরা বৈসাবী উৎসব পালন করে। এই বৈসাবী উৎসবকে ভিন্ন ভিন্ন নামে সম্বোধন করে থাকে আদিবাসীরা। এই উৎসবকে ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাইং, চাকমা ভাষায় বিজু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিসু বলে।
বৃহস্পতিবার সকালে রি স্বং স্বং রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কর্মসূচি জানানো হয়।
আগামী সোমবার থেকে উৎসব শুরু হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে তঞ্চঙ্গ্যা জাতীয় ঘিলা খেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় আগামী রোববার (১২ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে তাদের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা (পাহাড়ের এক ধরনের লতা জাতীয় বীজ)।
এদিকে মারমাদের সাংগ্রাইং উৎসব সোমবার (১৩ এপ্রিল) বান্দরবানে পুরাতন রাজবাড়ির মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি ও গুরু (বয়স্কদের পূজা বা শ্রদ্ধা) ভক্তি মধ্য দিয়ে শুরু হবে উৎসবের যাত্রা।
এর দ্বিতীয় দিনে (১৪এপ্রিল) সাংগু নদীর পাড়ে বুদ্ধ মূর্তি স্নান, তৃতীয় (১৫ এপ্রিল) ও চতুর্থ দিনে (১৬ এপ্রিল) রয়েছে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী জলকেলী উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এবার মারমাদের জলকেলী উৎসবের সহযোগীতা করছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এবং একাত্তর টেলিভিশন ।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি মংচিংনু মার্মা, সাধারণ সম্পাদক কো কো ওয়াই মার্মা ও পৌর কাউন্সিলর মংনুসিং মারমা।
এদিকে তঞ্চঙ্গ্যা জাতীয় ঘিলা খেলা কমিটির আহ্বায়ক কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা জানান, আগামী রোববার থেকে তঞ্চঙ্গ্যাদের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা উৎসব শুরু হবে।
এ সংক্রান্ত উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সিং ইয়ং প্রো জানান, আগামী সোমবার সদর উপজেলা টংকাবর্তী ইউনিয়নে তাদের উৎসবের মধ্যে রয়েছে, প্রোদের ঐতিহ্যবাহী গো হত্যা নৃত্য, বাঁশের লড়াই, মহিলাদের তাঁত বুনন প্রতিযোগিতা ও পিঠা উৎসব। বম, খুমি, ত্রিপুরা, চাকমা, লুসাই, খিয়াং আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরাও একই দিনে উৎসব পালন করবে বলে জানা গেছে।
এমএএস/আরআই