নকল ঠেকাতে না পেরে কেন্দ্র সচিবের পদত্যাগ


প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৫

বাগেরহাটের শরণখোলা ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলের মহোৎসব ঠেকাতে না পেরে কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ওই কলেজেরই যুক্তিবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

গত বৃহস্পতিবার ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে নকল করার পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষকের মাধ্যমে বিভিন্ন কক্ষে নকল পৌঁছে দেয়ার দৃশ্য দেখে তিনি তাৎক্ষণিক শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন। রোববার বিষয়টি প্রকাশ হলে শুরু হয় তোলপাড়।

কলেজ ও শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশের ন্যায় শরণখোলা উপজেলার মাতৃভাষা কলেজ, তাফালবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও শরণখোলা ডিগ্রি কলেজের জেনারেল ও কারিগরি বোর্ড শাখার ৮১৬ জন শিক্ষার্থী শরণখোলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। প্রথমদিন থেকে অল্প কিছু নকল হলেও ৯ এপ্রিল ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষার দিন কতিপয় শিক্ষক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর টাকার বিনিময়ে কক্ষে কক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেন। কোনো কোনো শিক্ষক আবার মূল বই কক্ষে পৌঁছে দেন। শিক্ষকদের নকলে সহয়তার এমন ভয়াবহতা দেখে অন্য শিক্ষকদের অনেকেই প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। কিন্তু বিষয়টির প্রতিবাদে কেন্দ্র সচিব ওইদিনই পদত্যাগ করেন।

কলেজের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, নকলের এমন ভয়াবহ চিত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তারা দেখেননি। বিষয়টি কলেজের অন্য এক শিক্ষক স্বীকার করে বলেন, পরীক্ষায় পাশের হার বাড়াতে শিক্ষার্থীদের সামান্য সুযোগ দেয়া হয়েছে।

কলেজের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার পক্ষে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় ।

এ ব্যাপারে শরণখোলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলম ফকিরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।  

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ অতুল মন্ডল জানান, পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ তিনি শুনেছেন। তবে কেন্দ্র সচিবের পদত্যাগের বিষয়টি তার জানা নেই।

এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

এসএস/একে/আরআইপি




পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।