কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ


প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ০৯ মে ২০১৭

জয়পুরহাটে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের এই কর্মীসভা পণ্ড হয়ে যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট টাউন হলে জেলা বিএনপির কর্মীসভা হওয়ার কথা থাকলেও দলটির দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সংঘর্ষের কারণে তা পণ্ড হয়ে যায়।

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের কোন্দল দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই অবস্থায় জেলা বিএনপির আহ্বানে ওই কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ফয়সল আলীম, জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় । সংঘর্ষে সভামঞ্চে থাকা চেয়ার টেবিল ভাঙচুরসহ সভাস্থলের আসবাবপত্র উলট-পালট করে দেয়া হয়। 

এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দুই গ্রুপের অন্তত পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন চৌধুরী সেকেন্দার ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পাপন হোসেনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করেন। জেলা বিএনপির একাংশের নেতা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকারের মদদে কিছু সন্ত্রাসী বিএনপির কর্মসূচি বানচাল করতে কর্মীসভায় হামলা করেছে।

জেলা বিএনপির অপর গ্রুপের নেতা জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান বলেন, বিএনপির কর্মীসভায় যারা হামলা করেছে তারা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ও ফয়সল আলীমের ভাড়া করা এবং তারা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী।

জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি।

রাশেদুজ্জামান/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।