কুয়াকাটা পৌরসভার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৭

কুয়াকাটা পৌরসভার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তা ঘাট, বাসা-বাড়ি তলিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী। বন্ধ রয়েছে দৈনন্দিন গৃহস্থলির কাজ।

পৌরবাসী জানিয়েছে, কুয়াকাটা পৌরসভার ৭ বছর পার হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা, কাঁচা রাস্তাঘাট ও কালভার্ট আগের মতোই রয়েছে। ৪ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে কোনো কোনো জায়গায় নামানো হচ্ছে বৃষ্টির পানি। মাত্র ৭শ ফুট ড্রেনেজ হচ্ছে তাও আবার পরিষ্কার করার নেই কোনো উদ্যোগ। একটু বৃষ্টি হলেই পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী ও পর্যটকদের চলাচলে অনপুযোগী হয়ে যায়।

kuakata

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে ৩নং ওর্য়াড ও পূর্ব দিক ৭নং ওর্য়াড গুরুত্বপূর্ণ ওই দুইটি ওয়ার্ডের কয়েক’শ পরিবারসহ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র কুয়াকাটা রাখাইন মাঠটি হাটু পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। ৩ ও ৭ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন দু’শতাধিক মানুষ। অনেক পরিবারের রান্নার চুলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকায় গত ৩/৪ দিন ধরে তারা রান্নার চুলা জ্বালাতে পারেনি। এসব পরিবারের স্কুলগামী শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। এছাড়া পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

কুয়াকাটা ৩নং ওয়ার্ডের গৃহবধূ খাদিজা বেগম, আমেনা বেগম এবং লাইজু বেগম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের এলাকায় পানি জমে থাকায় স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে। রান্নার চুলা জ্বলছেনা। শিশুরা ঠাণ্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ আলম হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আমার ওয়ার্ডের অর্ধেক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। একটি মাত্র ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয় না।

kuakata

কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সাজেদুল আলম জানান, পৌরসভার মাত্র হাফ কি.মি. ড্রেন রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে আড়াই কি.মি. ড্রেন নির্মাণের উদ্দোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৫ কি.মি. ড্রেন নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা বলেন, পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।