অবশেষে যাত্রা শুরু করলো কসবা সীমান্ত হাট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ১১ জুন ২০১৫

ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসাট ঘটলো। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট। এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দু`দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা এ হাটে পণ্য কেনা-বেচা করতে পারবেন। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার কসবা সীমান্ত হাটে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, এ হাটের মাধ্যমে দু`দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি দু`দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। পরে আলোচনা সভা শেষে দু`দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এম নাগারাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী ডি কে চাকমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বেগম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের ২১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তাঁরাপুর সীমান্তের ২০৩৯ নং পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দু`দেশের যৌথ মালিকানায় সীমান্ত হাটের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী ডি কে চাকমা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বেগম। বাংলাদেশের ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ভারতের ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভূমিতে ভারত সরকারের ২ কোটি ৪৪ লাখ রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে কসবা সীমান্তহাট।

প্রাথমিকভাবে হাটের ৫ কিলোমিটার এলাকায় বসবাসরত প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্যকে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করার জন্য পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তবে হাটে যাওয়ার আগে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অবশ্যই সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছ থেকে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া হাটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। হাটে ভারত ও বাংলাদেশের মোট ৫০ জন ব্যবসায়ী স্থানীয় কৃষি পণ্য ছাড়াও দু`দেশের সরকার নির্ধারিত ১৬টি করে পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/আরআই

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।