শেরপুরে সীমান্তে ফের বন্যহাতির মরদেহ
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি সীমান্তে দুই দিনের ব্যবধানে ফের একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বালিজুড়ি অফিসপাড়া এলাকার বন বিভাগের কর্মীরা হাতির মরদেহটি উদ্ধার করে।
বন কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে বন্যহাতিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে না পারলেও স্থানীয় সূত্র বলছে, খেতের আমন ফসল রক্ষায় গ্রামবাসীদের পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে বন্যহাতিটি মারা গেছে।
এর আগে শুক্রবার শ্রীবরদীর রাঙ্গাজান গ্রামের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত ১৩ অগাস্ট শ্রীবরদী সীমান্তঘেঁষা হলুয়াহাটি গ্রামে আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছিলো বনবিভাগ।
বনবিভাগের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি বিটের বিট কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম হাতির মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি মাদী (নারী) হাতি। বয়স আনুমানিক ৪ বছর এবং উচ্চতা ৭ ফুট এবং লম্বায় ৯ ফুটের মতো হবে। শ্রীবরদী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদী মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত করছেন। ময়নাতদন্তের পর ঘটনাস্থলের পাশেই গর্ত করে মরদেহটি পুঁতে ফেলা হবে।
বিদ্যুতের পাতা ফাঁদে বন্য হাতিটির মৃত্যু হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হাতিটি মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে যদি এমন কোনো কিছুর আলামত পাওয়া যয় তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, চলতি রোপা-আমন ধান খেতে থোড় আসায় গ্রামবাসীরা হাতির আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করতে জেনারেটরের মাধ্যমে তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে পুরো খতে ঘিরে রাখে। গেল রাতে কোনো এক সময়ে হাতির পাল ওইসব খেতে হানা দেয়ার চেষ্টা করলে পালের একটি হাতি বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
হাকিম বাবুল/এফএ/এমএস