বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শঙ্কায় তিন বন্ধু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ এএম, ২০ নভেম্বর ২০১৭

সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বুয়েট, কুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে সজীব, দীপ্র ও সৈকত তিন বন্ধু। কিন্তু এমন সাফল্যের পরও তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ফিকে হতে বসেছে। কারণ লেখাপড়া চালিয়ে যাবার সামর্থ তাদের হত দরিদ্র পরিবারের নেই। শুধু ভর্তি হলেই হবে না। এরসঙ্গে প্রয়োজন মাসিক খরচ।

তিন বন্ধু জানিয়েছে তারা বুয়েটে লেখাপড়া করতে আগ্রহী। ডিসেম্বরের ২ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত তাদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে। কিন্তু ভর্তির দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই তাদের আশঙ্কা বাড়ছে।

সদরের বড় মিতনা গ্রামের সুপদ ঘটকের ছেলে সৈকত ঘটক, সীমান্তবর্তী এগারখান গ্রামের প্রদীপ বিশ্বাসের ছেলে দীপ্র বিশ্বাস ও লোহাগড়া উপজেলার রায়গ্রামের জগদীশ বাইনের ছেলে সজিব বাইন।

সৈকতরা দুই ভাইবোন। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়ির ভিটা ছাড়া বাকি ২০ শতক জমি সৈকতের লেখাপড়ার জন্য বছর খানেক আগে অন্যের কাছে বন্দক রাখা হয়েছে। বাবা অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালান। মা হাঁস-মুরগি পালন, মৌসুমে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে এবং অন্যের জমিতে বীজতলা তুলে বাড়তি টাকা রোজগার করেন।

দীপ্র বিশ্বাসদের বাড়ির ভিটা ছাড়া মাত্র ১০ শতক জমি রয়েছে। বাবা কখনো ভ্যান চালান কখনো অন্যের জমিতে কাজ করেন। মা বাড়িতে দর্জির কাজ ও হাঁস-মুরগি পালেন। আর সজিবরা ৫ ভাই-বোন। দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ভাইদের মধ্যে সে বড়। অন্যের জমি বর্গা করে তাদের সংসার চলে।

বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অসীম চক্রবর্ত্তী জানান, আমরা সাধ্যমত এদের সহযোগিতা করছি। জীবনযুদ্ধে এগিয়ে চলা অদম্য এই তিন শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণে সমাজের বিত্তবান, শিক্ষানুরাগীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

হাফিজুল নিলু/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।