যমুনার পাড়ে ইজতেমায় লাখো মুসল্লির ঢল
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পাড়ে ইজতেমার প্রথম দিনে লাখো মুসলির ঢল নেমেছে। গ্রুপ গ্রুপ করে চলছে বয়ান। পৌর এলাকার মালশাপাড়ায় যমুনা নদীর তীরে ক্রসবার-৩ এর পাশে দ্বিতীয় বারের মত আয়োজিত আঞ্চালিক ইজতেমায় সিরাজগঞ্জ জেলা ছাড়াও দেশ-বিদেশের অন্তত দুই লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে তিন দিনব্যাপী এ আঞ্চলিক ইজতেমায় বয়ান শুরু হয়। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে।
আগত মুসুল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন, পৌরসভা, নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম ইজতেমা প্রাঙ্গণে অবস্থান করছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের পক্ষ থেকে সুপেয় পানি এবং টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

তাবলিগ জামাতের জেলা আমির মাওলানা মো. আব্দুর রশিদ জানান, সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক ইজতেমার প্রথম দিনের বয়ানে অংশ নেন মাওলানা আব্দুর রশিদ। বাদ আছর বয়ান করবেন মাওলানা ওসামা সাহেব ও বাদ মাগরিব মাওলানা মো. মোশারফ সাহেব বয়ান করবেন।
তিনি আরও বলেন, এবার বিপুল সংখ্যক মুসল্লির আগমন হবে বলে আমরা আশা করছি। এ বছর ইজতেমার ময়দানে মুসল্লিদের বসার জায়গাও দ্বিগুণ করা হয়েছে। সেবার মান দ্বিগুণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. কাজী শামীম হোসেন বলেন, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় একজন করে মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে সরকারি-বেসরকারি একাধিক মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। অসুস্থ মুসল্লিদের চিকিৎসা পরামর্শের পাশাপাশি সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হবে।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় পাঁচ শতাধিক পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএআর/পিআর