কুড়িগ্রামে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু


প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ২০ জুলাই ২০১৫

কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। পেটের ব্যথা সইতে না পেরে ওড়না পেচিয়ে এক কিশোরী এবং এক বৃদ্ধ গাছের সাথে চাদর ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রভাষক মিনহাজুল ইসলাম (৩৫) ঘোগাদহ ইউনিয়নের চৈতের খামার জামে মসজিদের ঈদগাহ মাঠে শনিবার ঈদের নামায পড়ান। পরে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে মধ্য কুমোরপুর এলাকার মধ্যপাড়া নামক স্থানে দুপুর ২টার দিকে ছাগলের বাচ্চার সাথে সংঘর্ষ হলে মাথায় জখম পান।

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়। প্রভাষক মিনহাজুল ইসলাম কুড়িগ্রাম আলীয়া মাদরাসার প্রভাষক ছিলেন। তিনি ৭ মাস আগে বিয়ে করেন।

অপরদিকে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের মৃত সরু মাহমুদের ছেলে আবুল হোসেন (৬৫) সোমবার ভোর রাতে বাড়ির ভিতর একটি আম গাছে চাদর ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ এবং এলাকাবাসী জানায়, আবুল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। পরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।  

এদিকে পেটের ব্যথা সইতে না পেরে নাগেশ্বরীতে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত কিশোরীর মা জানান, প্রচন্ড পেট ব্যথায় চিৎকার করছিল। ডাক্তার দেখানোর প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু হঠাৎ সবার অজান্তেই ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে।

নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এস আই) আব্দুস সালাম জানান, সকালে নাগেশ্বরী পৌর এলাকার কাছাড়ী পায়ড়াডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কাকলী আক্তার (১৩) শোয়ার ঘরের ধর্নার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পেটের ব্যাথা সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে নিহত কিশোরীর মা দাবী করেছেন।

নাজমুল হোসেন/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।