হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালানো স্বামী গ্রেফতার
শেরপুরে নির্যাতন করে হত্যার পর হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়া স্বামী লাভলু মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত লাভলুকে বুধবার (১১ জুলাই) আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রায় তিন বছর আগে শেরপুর সদর উপজেলার হাতিআগলা গ্রামের বাসচালক লাভলুর সঙ্গে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বালিহালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। তারা সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারের একটি ভাড়া বাসায় থাকত। কিন্তু বিয়ের পর থেকে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
গত ৭ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু স্ত্রী শেফালীকে মারধর এবং তলপেটে লাথি মেরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শেফালীকে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায় লাভলু।
সোমবার সকালে শেফালী ওই হাসপাতালেই মারা যায়। কিন্তু শেফালীর লাশ গ্রহণ না করে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় স্বামী লাভলু ও তার স্বজনরা। পরে থানা পুলিশ শেফালীর লাশ উদ্ধার করে।
গত ৯ জুলাই সোমবার রাতে গৃহবধূর বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে স্বামী লাভলু মিয়া (৩০) এবং তার বাবা-মা ও ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
হাকিম বাবুল/এএম/আরআইপি