সংস্কারের ১ মাসের মধ্যেই সড়কের বেহাল দশা


প্রকাশিত: ০৬:৪০ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৫

বাগেরহাটের শরণখোলায় সংস্কার হওয়ার মাত্র এক মাসের মধ্যেই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শহীদ মিনার রায়েন্দা  ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের। খানখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে পথ চলা ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও উদাসীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শহীদ মিনার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কটির ৭৮০ মি. রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সংস্কারের জন্য এলজিইডি ১১ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্ধ দেয়। কিন্তু নিম্নমানের রেটের মাধ্যমে কাজটি পায় খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শরিফুল আলম এন্টারপ্রাইজ। যা পরবর্তীতে স্থানীয় এক ঠিকাদারের মাধ্যমে জুন-২০১৫ মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়।

কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির সংস্কার কাজ করতে না করতেই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ইসাহাক আলী মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬০/৭০ মি. অংশে বৃষ্টির পানি জমে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, প্রকৌশল অফিসের ঘুষ বাণিজ্য ও নজরদারি না থাকার কারণে কাজের মান অনেকটা  নিম্নমুখী হয়েছে। বর্তমানে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের ওই অংশ দিয়ে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

রায়েন্দা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, স্থানীয় এলজিইডি কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে শরণখোলা উপজেলার বহু উন্নয়নমূলক কাজের মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে এবং সরকারিভাবে বরাদ্দ হওয়া লাখ লাখ টাকার প্রকল্প বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে না। তাই নির্মাণ কিংম্বা সংস্কারের পর কিছু দিন যেতে না যেতেই রাস্তা ঘাটে আবার আগের চিত্র ফুটে উঠে।

উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল ইসলাম জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা রাস্তার দু`পাশ দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করায় রাস্তা সংকুচিত হয়ে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি কোথায়ও নামতে পারছে না। তাই সামান্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে শিগগিরই পানি সরানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শওকত আলী বাবু/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।