মেয়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ফজিলাতুন্নেসা
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসাকে (৮০) তার বাবার বাড়ি নড়াইল সদরের ধুড়িয়া গ্রামে মেয়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। বিকেলে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে এবং রাতে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ সময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসার মৃত্যুতে নড়াইল জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শোক জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বেগম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নড়াইলের কৃতি সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সহধর্মিণীর মৃত্যুতে জেলা প্রশাসন নড়াইল গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাতবাসী করুন। আমীন।’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রীর মৃত্যুতে পুলিশ প্রশাসন গভীরভাবে শোকাহত।
এছাড়া নড়াইলের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ মানুষ তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ফজিলাতুন্নেসা । তিনি ডায়াবেটিকসহ বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২৭ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হন।
ফজিলাতুন্নেসার নিকটাত্মীয় আসাদ রহমান জানান, ফজিলাতুন্নেসার বাবার বাড়িতে নিজের (ফজিলাতুন্নেসার) দান করা জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই মসজিদের পাশেই তাকে কবর দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অসুস্থ হওয়ার আগে ফজিলাতুন্নেসা নড়াইল শহরের বাড়িতেই বসবাস করতেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন তিনি।
হাফিজুল নিলু/আরএআর/পিআর