ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতেই চলছে যান
সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৫ টন। অথচ প্রতিনিয়তই চলছে ২০ থেকে ৪০ টন মালবোঝাই যানবাহন। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের আলমপুর সেতুটিকে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হলেও তা মানছেন না কেউই।
মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া থেকে শত শত যানবাহন প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। ফলে প্রায় অর্ধশত বছর আগে নির্মিত আলমপুর সেতুটি এখন সম্পূর্ণ রূপে ঝুঁকিপূর্ণ।
এলাকাবাসী বলছেন, সাইনবোর্ড দিয়েই দায় সেরেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রায় ৫৪ বছরের পুরানো এ সেতুটি দেবে যাওয়ায় ফাটল ধরেছে সেতুর বিভিন্ন অংশে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বসানো হয়েছে সেতুর উপর একটি বেইলি ব্রিজ। ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও প্রতিনিয়তই সেতুর ওপর দিয়ে চলছে পাথর, রড, সিমেন্ট ও সবজি বোঝাই ২০ থেকে ৪০ টনের বেশি মালবাহী ট্রাক। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাসের চালক রমিজ উদ্দিন জানান, আলমপুর সেতুটি এখন বিপজ্জনক। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অবিলম্বে সেতুটি মেরামতের দাবি জানান তিনি।

ট্রাক ও বাস চালকরা আরও জানান, বিকল্প সড়ক দিয়ে যেতে সময় ও তেল লাগছে বেশি। সেজন্য ঝুঁকি নিয়ে তারা এ সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করছেন।
জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন জানান, সেতুর উপর দিয়ে যাতে ভারি যানবাহন চলাচল না করতে পারে সেজন্য পুলিশ বিভাগকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও ট্রাক ও বাস মালিক গ্রুপের নেতাদেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মেহেরপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার জানান, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মধ্যেই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
আসিফ ইকবাল/এফএ/এমকেএইচ