শাড়ি দেখে শরীরের বিভিন্ন অংশ শনাক্ত করল পরিবার
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় নিখোঁজের ছয় মাস পর নার্গিস বেগম (৫২) নামে এক নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সাহেবনগর গ্রামে ওই নারীর প্রতিবেশী আবুল বাসারের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নার্গিস খাতুন সাহেবনগর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে ওই নারী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও তার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেননি। পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে খুন করে মরদেহ গুম করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেন নার্গিসের পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি নার্গিসের প্রতিবেশী আবুল বাসারকে আটক করে গাংনী থানা পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।
গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘আবুল বাসারের স্বীকারোক্তির আলোকে শুক্রবার রাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়ির আঙিনার সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নার্গিসের মরদেহের হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। ট্যাংকের ভেতরে থাকা শাড়ি থেকে নার্গিসের পরিবার মরদেহ শনাক্ত করেন।
নিহতের হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনিএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
আসিফ ইকবাল/এফএ/এমএস
