ভিক্ষুকবেশে মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৭:৩৪ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৯

কুমিল্লার লালমাইয়ে ভিক্ষুকবেশে এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৫) অচেতন করে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে মক্তবে যাওয়ার পথে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাইয়ের পেরুল এলাকা থেকে তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর মামা।

ভুক্তভোগী উপজেলার ফয়েজগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সে তার মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে।

ছাত্রীর মামা জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পাশে অবস্থিত। ওই ছাত্রী প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল ৬টার দিকে মক্তবে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় সে বোরকা পরা অজ্ঞাত এক নারীকে বাড়ির সামনে বসে থাকতে দেখে। ওই নারী তার কাছে দান-খয়রাত চান। তখন সে তাকে (নারীকে) বাড়ির ভেতরে যেতে বলে। পরে সে মহাসড়ক পার হয়ে মক্তবের দিকে যাওয়ার পথে ওই নারী পেছন থেকে তাকে অচেতন করে কালো কাচের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।

পরে মাইক্রোবাসটি জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর এলাকায় পৌঁছলে ওই ছাত্রীর জ্ঞান ফিরে আসে। তখন সে দেখতে পায় গাড়িতে আরও দুই শিশু কান্না করছে। কিছুক্ষণ পর ওই নারী গাড়ি থেকে নেমে কারও সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এ সুযোগে ওই ছাত্রী কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালাতে থাকে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে খবর দেয়। এরই মধ্যে ওই নারী গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে ওই ছাত্রীর মামা অপহরণ চেষ্টার বিষয়টি পুলিশকে জানান।

লালমাই থানার ওসি বদিউল আলম বলেন, অপহরণ চেষ্টার ঘটনা ওই ছাত্রীর মামা ও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে জেনেছি। তারা বলেছে, ওই মেয়ে মক্তবে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে ভিক্ষুকবেশে বোরকা পরা অজ্ঞাত এক নারী তার মুখ চেপে ধরে অচেতন করে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। পার্শ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর এলাকায় মেয়েটি কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে আসে। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মো. কামাল উদ্দিন/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।