আত্মীয় সেজে নবজাতক নিয়ে উধাও নারী!

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আত্মীয় পরিচয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে কটিয়াদী থানা ও হাসপাতালের কাছে অবস্থিত রেনেসাঁ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিকে এ অভিনব চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের বর্তীহাটা গ্রামের মনির হোসেন ওরফে মহরম আলীর স্ত্রী কুলসুম বেগম (২৮) মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার সকাল ১১টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
অপারেশনের পর নবজাতক ও মাকে পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে রাখা হয়। সেখানে তার স্বামী, শাশুড়ি, ফুফু ও অন্য আত্মীয়রা নবজাতককে দেখতে আসেন।
স্বজনরা জানান, বোরকাপরা এক নারী কুলসুমের বাবার বাড়ির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাদের সঙ্গে দীর্ঘসময় কথাবার্তা বলেন। তিনি নবজাতককে কোলে নিয়ে বারান্দা ও কক্ষের ভেতর আসা-যাওয়া করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে ওই নারী বাচ্চার শরীর মুছে দেয়ার জন্য নবজাতকের ফুফুকে একটি গামছা ভিজিয়ে আনতে বলেন। শিশুর ফুফু গামছা ভিজিয়ে আনতে গেলে নবজাতককে নিয়ে চম্পট দেন বোরকাপরা ওই নারী।
হাসপাতালের নার্স রোজিনা আক্তার বলেন, নবজাতক দেখার জন্য স্বজনদের সঙ্গে ৫-৬ জন লোক আসেন। তাদের সঙ্গে বোরকাপরা এক নারীও ছিল। তাদের স্বজন ভেবে বোরকাপরা নারীর পরিচয় জানতে চাইনি। দীর্ঘসময় ওই কক্ষে নবজাতককে কোলে নিয়ে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দেখা গেছে।
শিশুটির বাবা মনির হোসেন ওরফে মহরম আলী বলেন, হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার পথে আমার সন্তান চুরি হওয়ার খবর জানতে পারি। শিশুর খোঁজে আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন স্থানে ছুটাছটি করছেন।
এ ব্যাপারে রেনেসাঁ ক্লিনিকের পরিচালক মো. সাদেক মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। আমি ক্লিনিকের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কর্তব্যে অবহেলা করায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, নবজাতককে উদ্ধারে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ/বিএ