১২ লাখ মানুষের জন্য কোয়ারেন্টাইনের বেড মাত্র ১১টি!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ০৯ মার্চ ২০২০

মরণব্যাধি করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে আদা-জল খেয়ে নেমেছে পুরো বিশ্ব। কিন্তু এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না কিছুতেই। বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে হতে পারে এমন আশঙ্কাকে মাথায় রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

তবে সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বরগুনায় মাত্র ১১টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনের পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য। অথচ বরগুনায় বসবাসরত বাসিন্দাদের সংখ্যা ১২ লাখের অধিক। এই ১২ লাখ মানুষের জন্য মাত্র ১১টি বেডের কথা শুনে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বরগুনার সচেতন মহল।

বরগুনার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহভাজন আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনের পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও কোয়ারেন্টাইনের জন্য জেলার ছয়টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আটটি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। যদিও হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত বেডের সংখ্যা মাত্র পাঁচটি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

jagonews24

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন কামাল বলেন, পুরো বিশ্ব চেষ্টা করেও যেখানে করোনভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, সেখানে আমাদের প্রস্তুতি যথাযথ থাকা উচিত। বরগুনায় কোয়ারেন্টাইনের জন্য যে বেড প্রস্তুত করা হয়েছে তা খুবই অপ্রতুল। তাই খুব দ্রুত কোয়ারেন্টাইনের জন্য বেডের সংখ্যা শতাধিকে উন্নীত করার অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, কোয়ারেন্টাইনের জন্য বরগুনায় এখন পর্যন্ত ১৩টি বেড প্রস্তুত রয়েছে।

জাগো নিউজের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১২ লাখ মানুষের জন্য এই ১৩টি বেড পর্যাপ্ত নয়। তাই মঙ্গলবার (১০ মার্চ) স্বাস্থ্য বিভাগের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে এবং সেই সভায় কোয়ারেন্টাইনের জন্য বেডের সংখ্যা উন্নীত করা যায় কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এফএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।