নরসিংদীতে ১১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নরসিংদীতে এ পর্যন্ত ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা সবাই বিদেশফেরত। রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকার তিন বাসিন্দা ও শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ও চক্রধা এলাকার দুজন ও নরসিংদী সদরের দুজন ও পলাশের একজনসহ মোট ১১ জন রয়েছেন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার সুমন। তবে করোনাভাইরাস নির্ণয়ে কোনো প্রকার কিট নরসিংদী স্বাস্থ্য বিভাগে এখনও পৌঁছেনি।
সম্প্রতি তারা সবাই বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনাভাইরাস বিষয়ে প্রবাসফেরতসহ সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নরসিংদীর প্রধান দুটি চিকিৎসাকেন্দ্র জেলা ও সদর হাসপাতালসহ সবগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার সুমন বলেন, বিদেশফেরত ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন পর্যন্ত তাদেরকে আলাদা করে রাখা হবে।
তিনি বলেন, করোনা শনাক্তে আধুনিক উপযোগী ল্যাব প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) রয়েছে। কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের জানানো হবে।
সঞ্জিত সাহা/এএম/জেআইএম