করোনা থেকে বাঁচতে মাঝরাতে থানকুনি পাতা খাওয়ার হিড়িক
সারাদেশের মতো পটুয়াখালীতেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে রয়েছে মানুষ। এরই মধ্যে ভাইরাস ঠেকাতে হলে ‘ফজরের নামাজের আগে তিনটা থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে মুক্তি মিলবে’ এমন গুজবে সড়কে নামেন সহজ সরল মানুষ। মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলায় এমন ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সচেতন মানুষ।
ফেসবুকে মো. জহিরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘ভাইরাস-করোনা : সবেমাত্র গুজব শুরু। ধর্মগুরুরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করছে বৈ, শুধু থানকুনি পাতা নয়, মানুষের বিষ্টা পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। গুজব থেকে সাবধান।’
তাহমিদ খান তিশাদ তার ওয়ালে লিখেছেন, ‘রাত ৩টা। হঠাৎ চারিদিকে হৈ চৈ হট্টগোল...কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাসার কেয়ারটেকারের ফোন- তারাতারি ঘুম দিয়ে উঠো এখনি পাতা খাইতে হবে। আমি বললাম কিসের পাতা? তারা বলল, করোনা ভাইরাস ঠেকাতে হলে এখনি ফজরের নামাজের আগে তিনটা থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাইতে হবে, নইলে শেষ। আর নাকি বাঁচা যাইবে না...এমন মহৌষধের ফর্মুলা কে বলে দিয়েছে জিজ্ঞেস করতেই সে বললো জৈনপুরি হুজুর স্বপ্নে এইটা পেয়েছেন... এখন আমার এলাকার আশপাশের লোক দলে দলে সেই পাতা খুঁজতে বের হইছে, চারিদিকে হৈ চৈ পাতা লাগবে ফজরের আগেই। কেউ কেউ পাতা খুঁজতে দেখলাম অটোরিকশা নিয়ে বের হইছে...
জাতি হিসেবে আমরা সত্যিই কিউটের ডিব্বা...যদি আমরা সত্যিই ব্যাপক আকারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হই তাহলে এই গুজবে বিশ্বাস করা জাতি নিয়ে আমরা সত্যিই ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হব...’
সজল রহমান নামে আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘করোনা থেকে বাঁচতে ফজরের নামাজের আগে তিনটি থানকুনি পাতা খাচ্ছেন কিন্তু জাহান্নাম থেকে বাঁচতে ফজরের নামাজ কি আদায় করছেন?’
মঙ্গলবার রাত ২টায় একে অপরের কাছে মুঠোফোনে কল করে বিষয়টি অবহিত করলে হুড়হুড়ি শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ও নানা কৌতুহল চলছে পটুয়াখালী জেলাজুড়ে। তবে এবিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/জেআইএম