বাগেরহাটে বিদেশফেরত ৩১৯৪, কোয়ারেন্টাইনে মাত্র ৩০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
প্রকাশিত: ০৩:১৯ এএম, ১৯ মার্চ ২০২০

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বাগেরহাট জেলার তিন হাজার ১৯৪ জন প্রবাসীর মধ্যে বুধবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ জেলায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা ৩০ প্রবাসীর মধ্যে তিনজনের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষে তারা সুস্থ রয়েছেন।

বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মাত্র ২৭ জনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে শরণখোলায় উপজেলা সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা আব্দুল আউয়াল হাওলাদার (৬৪) নামের এক রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর থেকে আসা টিমের সদস্যরা।

বাগেরহাটে বুধবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৪ প্রবাসীর মধ্যে একজন ইতালি, একজন জার্মানি, তিনজন সিঙ্গাপুর ও ১৯ জন ভারত থেকে দেশে এসেছেন। বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, করোনা আতঙ্কে এত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী নিজ নিজ বাড়িতে আছেন তা আমাদের জানা ছিল না। বুধবার সকালে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন বিভাগের এই তালিকা আমার কাছে এসেছে। তালিকা ধরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, এ জেলায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা ৩০ প্রবাসীর মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজনের মেয়াদ শেষে তারা সুস্থ রয়েছেন। বুধবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এদিকে করোনা আতঙ্কে জেলার ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে সব ধরনের যান প্রবেশ নিষেধ করেছে উপজেলা প্রাসাশন। এর ফলে হাসপাতালের প্রধান গেট বন্ধ করে পাহারা বসানো হয়েছে। সেখানে রোগীদের যানবাহন প্রবেশ করার কথা থাকলেও গেটম্যান কাউকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত হচ্ছে বাকবিতণ্ডা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মারাত্মক অপারেশনের রোগীরাও গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারছে না। এখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন করোনা রোগী না থাকলেও প্রশাসন নিয়েছে এমন কড়াকড়ি।

শওকাত বাবু/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।