মাদারীপুরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মাদারীপুরের কালকিনির সঙ্গে বরিশালের গৌরনদীর সকল সীমান্তবর্তী সংযোগ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন। তবে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক খোলা রাখা রয়েছে।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুর থেকে কালকিনি উপজেলার কয়েকটি সীমান্তবর্তী রুটের সংযোগস্থলে বাঁশ-কাঠ ও পাটখড়ির বেড়া দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে মাদারীপুরের কেউ বরিশালে আর বরিশালের কেউ মাদারীপুরে ঢুকতে না পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সঙ্গে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী নতুন টরকি থেকে রমজানপুর রাস্তার বড় ব্রিজ, গৌরনদীর লঞ্চঘাট থেকে চড় পালরদী খেয়াঘাট, ঘোষেরহাট বাজার থেকে খাজুরতলা হাট ব্রিজ, আগৈলঝাড়া-মাদারীপুর রাস্তার খাঞ্জাপুর বড় ব্রিজসহ ছোট বড় ব্রিজ, কালভার্ট, নদীপথসহ বাঁশের সাঁকোর সকল যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন। এতে দুই জেলার সীমান্তবর্তী লোকজনকে প্রয়োজনীয় লেনদেন বেড়ার মধ্য দিয়ে করতে হচ্ছে।
ডাসার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওহাব মিয়া বলেন, গৌরনদী থানা পুলিশ আমাদের সহযোগিতায় কাজীবাকাই বাজারে এসে সবাইকে জড়ো হতে নিষেধ করে গেছে। ওইসব এলাকার লোকজনকে তাদের এলাকায় প্রবেশে নিষেধ করেছে। আমরাও চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষ যাতে জড়ো না হয়। তাদের নিজ নিজ এলাকায় থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আইনগতভাবে করা হয়নি, মানুষকে সচেতন করতে এটা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মাদারীপুরের সঙ্গে গৌরনদীর সকল সীমান্তবর্তী সংযোগ সড়ক সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক খোলা আছে।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে যেসব দোকানে জনগণের ভিড় হয় সেসব দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছি এবং আমরা মাঠে তদারকি করছি।
উল্লেখ্য মাদারীপুরে করোনা ভাইরাসে মোট ৩৩৭ জন কোয়ারেন্টাইনে আছে। যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৮৭ জন এবং হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে আছে তিনজন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৬৫ জন। সদর হাসপাতালের আইসলোশনে আছে তিনজন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে রিলিজ পেয়েছেন ২৮৭ জন। জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/জেআইএম