ঝালকাঠির ৮১১ প্রবাসীকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২০
ফাইল ছবি

ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন স্থানে চলতি মার্চ মাসে বিদেশ থেকে ১ হাজার ২৩ জন পৌঁছেছেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। বিদেশফেরত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ দাবি করলেও সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছে ৮১১ জনকে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ২১২ জনের তালিকা রয়েছে, যাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৬৫ জন এবং ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৪৭ জন।

জানা যায়, মার্চের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদেশ থেকে ১ হাজার ২৩ জন ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ২১২ জনকে স্বাস্থ্য বিভাগ ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখে। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের সময় শেষ হলে ৪৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আর তালিকা অনুযায়ী ৮১১ জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকার কোনো মিল নেই। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা কোথাও বিদেশফেরত ব্যক্তিরা ঘুরে বেড়ানোর খবর দিলে স্বাস্থ্য বিভাগ হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়। জেলা প্রশাসনকে জানালে তারা জরিমানা করে। কিন্তু এখনো যারা আত্মগোপনে রয়েছেন বা গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন থেকে ঝালকাঠি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বিদেশফেরত ৯৬০ জনের তালিকা পাঠানো হয়। এদের মধ্যে অনেককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে সম্প্রতি যাদের খুঁজে পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে ২১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। এরপরও কোথাও বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা অথচ তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। পাসপোর্ট করার সময় তারা স্থায়ী ঠিকানার ঘরটিতে গ্রামের বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করেছেন। গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও তার সত্যতা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী গ্রামের ঠিকানায় পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়েছে। ইমেগ্রেশনে তাদের পাসপোর্ট অনুসারেই ঠিকানা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে ইমেগ্রেশন থেকে পাওয়া পাসপোর্টের ঠিকানা অনুযায়ী বিদেশ ফেরত লোকদের তালিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে গোয়েন্দা বিভাগে পাঠিয়েছে।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, বিদেশ থেকে আসা কেউই আপাতত ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে যারা ১৪ দিন মেয়াদ শেষ না হতেই ঘর ছেড়ে বাইরে গিয়েছিলেন, তাদের জরিমানা করে আবার নিজের ঘরে পাঠানো হয়েছে। কেউ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।