ত্রাণ বিতরণ নাকি ফটোসেশন?
ত্রাণ নিতে আসা অসহায় মানুষ ও ত্রাণ বিতরণকারীরা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে বিতরণ করা হয় ত্রাণসামগ্রী। সেই সঙ্গে ত্রাণ বিতরণের ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচার করা হয়।
ঝালকাঠির রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর ত্রাণ বিতরণের সময় এমন দৃশ্য দেখা যায় অহরহ। গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিতরণের পর ছবি তুলে আবার তারাই উপদেশ দেয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার। সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, এটি ত্রাণ বিতরণ নাকি ফটোসেশন?
সোমবার (০৬ এপ্রিল) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে দেখা যায়, ত্রাণ নিতে আসা অসহায় মানুষগুলো গা-ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন। অন্যদিকে ত্রাণ হাতে দিয়ে গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে ছবি তুলছেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা জেডআই কামালের আয়োজনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৫-২০ জন নেতা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে গা-ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা জেডআই কামাল বলেন, নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে কল কেটে ফোন বন্ধ করে দেন তিনি।
ত্রাণ নিতে আসা ব্যক্তিরা বলেন, নিয়ম শুধু গরিবের জন্য। বড় লোকের জন্য কোনো নিয়ম নেই। আমাদের দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর কথা বললেও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে তারা।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নিজের ও পরিবারের কথা ভেবে হলেও সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশকে করোনাভাইরাসমুক্ত রাখতে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা উচিত সবার। করোনা একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায়। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।
আতিকুর রহমান/এএম/পিআর