কুষ্টিয়ায় আনসার সদস্যসহ দুজনের মৃত্যু, করোনা উপসর্গ ছিল
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মৃত্তিকাপাড়ায় জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে আশরাফুল ইসলাম (৪৫) নামে এক আনসার সদস্য এবং দৌলতপুর উপজেলায় এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানা গেছে। মৃত দুজনের মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া চলছে।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার মৃত্তিকাপাড়াস্থ জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে আশরাফুল ইসলাম (৪৫) তার নিজ বাড়িতে মারা যান। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি তার কর্মস্থল যশোর থেকে নিজ গ্রামে আসেন। তিনি একই এলাকার মৃত কিতাব উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউপির পল্লীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক দিনমজুরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে নিজ বাড়িতে মারা গেলে এলাকার লোকজন বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই দিনমজুরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম কারিগর পাড়া গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে জিয়ার উদ্দিন (৩০) দিনমজুরের কাজ করতো। কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া দিনমজুরের স্বজনরা জানান, জিয়ার উদ্দিন হাঁপানির রোগী ছিলেন এবং মাঠে দিনমজুরের কাজ করতো। কোনো বিদেশ ফেরতের সংস্পর্শেও সে যায়নি বলে স্বজনরা দাবি করেছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার জানান, করোনা উপসর্গ থাকায় মৃত ব্যক্তির শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থায় মৃত জিয়াউরের বাড়িসহ প্রতিবেশীদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে ইউএনও জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যশোর থেকে কুষ্টিয়ায় আসা আশরাফুল ইসলাম নামের এক আনসার সদস্য জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার বিকেলে মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এমন খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস পজিটিভ কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য (শনিবার) ঢাকায় আইসিডিআর এ পাঠানো হবে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের দুটি গ্রাম লকডাউন করেছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বেশ কয়েকজন এই দুই গ্রামে আসার কারণে গ্রাম দুটিকে লকডাউন করা হয়েছে বলে জানায় কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান।
আল-মামুন সাগর/এমএএস