হতদরিদ্রের চাল কালোবাজারির দায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ চাল কালোবাজারির দায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাসহ দুইজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান এ দণ্ড দেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) শাহাদাৎ হোসেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির তালিকাভুক্ত ডিলার প্রদীপ দত্ত (৪৫) এবং চাল ক্রেতা মুদি দোকানি পঙ্কজ সাহা।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক অশোক কুমার জাগো নিউজকে জানান, গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৯০৫ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। কর্মসূচির শুরুতেই ওই ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির লক্ষ্যে প্রদীপ দত্ত ও ফরিদ বেপারী ডিলার হওয়ার জন্য আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯৫৩ জন সুবিধাভোগীর জন্য বাকাই বাজারে প্রদীপ দত্তকে ও ৯৫২ জন সুবিধাভোগীর জন্য ভূরঘাটা বাজারে ফরিদ বেপারীকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বাকাই বাজারে অভিযান চালানো হয়। এসময় পঙ্কজ সাহার মুদি দোকানে হতদরিদ্রের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি ওজনের ৪০ বস্তা ও ৪০ কেজি ওজনের ১৫ বস্তাসহ সর্বমোট ৫৫ বস্তা চাল বিক্রির সময় হাতেনাতে ডিলার প্রদীপ দত্তকে আটক করা হয়। পরে হতদরিদ্রের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কেনার অভিযোগে মুদি দোকানি পঙ্কজ সাহা ও চাল বহনের অভিযোগে ভ্যানচালক শঙ্কর পালকেও আটক করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে ওই তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং ডিলার প্রদীপ দত্ত ও মুদি দোকনি পঙ্কজ সাহা নিজেদের মুখে চাল কালোবাজারি করার কথা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দুইজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ভ্যানচালক শঙ্কর পালকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, প্রদীপ দত্তের বিরুদ্ধে চাল কালোবাজারির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে।
সাইফ আমীন/এইচএ/পিআর