আইসোলেশন ওয়ার্ডের দৃশ্য ধারণ, সাংবাদিকের বাড়ি লকডাউন

টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে প্রবেশ করায় বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক ও ক্যামেরাপারসনের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তাদের বাড়ি শহরের কাগমারা ও এসপি লেক সংলগ্ন ধুলের চর এলাকায়।
গতকাল রোববার রাতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপম ফারিসা বাড়ি দুটি লকডাউন করেন। এ সময় তিনি ওই দুই বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেন এবং আশপাশের সকলকে সতর্ক করেন।
জানা যায়, রোববার বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা পাঁচজনকে চিকিৎসা দেয়ার দৃশ্য ধারণ করতে যান বেসরকারি ওই টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন। এ সময় রিপোর্টার ওই হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে প্রশাসন রাতেই ওই বাড়ি দুটি লকডাউন ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ওই রিপোর্টার বলেন, বিকেলে ক্যামেরাপারসন পিপিই পরে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ছবি ধারণ করেন। এ সময় আমি হাসপাতালে অবস্থান করছিলাম। পরে তাকে নিয়ে আমি মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় এক দৈনিক পত্রিকার অফিসে যাই। সেখান থেকে নিউজ পাঠিয়ে আমরা বাড়ি চলে আসি। রাতে প্রশাসন এসে আমাদের দুজনের বাড়ি লকডাউন করে গেছে।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপম ফারিসা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রবেশ করা ও করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসায় ওই দুই সংবাদকর্মীর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া তাদের দুজনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এমএআর/এমএস