করোনা : এগিয়ে আসেনি এলাকাবাসী, লাশের জানাজা-দাফন করল ছাত্রলীগ
মহামারি করোনা সন্দেহে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফনে এলাকাবাসী বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই পোশাক শ্রমিকসহ পরিবারের ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। পরে ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার শর্তে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে লাশ দাফনে সম্মত হন এলাকাবাসী।
ওই শ্রমিক ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় চাকরি করতেন। তবে নিজ এলাকা শাহজাদপুরের কেউই এগিয়ে না আসায় উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা লাশের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেছেন। এতে প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
নিহত ও স্বজনদের নমুনা পরীক্ষার জন্য রোববার (২৬ এপ্রিল) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ১১ জনকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেখা হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, করোনা সন্দেহে লাশ দাফনে এলাকার লোকজন বাধা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পুলিশ পাহারায় দুপুরে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে পোশাক শ্রমিকের মরদেহ আসে। কীভাবে মারা গেছেন, পরিবারের লোকজন স্পষ্টভাবে তেমন কিছুই বলেনি। এলাকাবাসীর আপত্তির কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিহত ও স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষার জন্য রোববার রামেক হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ১১ জনকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বলা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা বলেন, ‘করোনা সন্দেহে ওই পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফনে স্থানীয় কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে সাহসিকতার সঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. রাসেল ও তার সহযোগীরা ওই মৃত ব্যক্তির জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করেন।’
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এসআর