কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসকসহ চারজনের করোনা শনাক্ত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২০

কুষ্টিয়া জেলায় এবার একজন নারী চিকিৎসকসহ আরও ছয়জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হলো। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। আজ নতুন আক্রান্ত ৪ জনের মধ্যে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দা তাসমিনা তাবাসছুম (২৮) রয়েছেন। তিনি ৩৯তম বিসিএস’র ক্যাডার।

মিরপুর উপজেলায় চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হাবিবের হাসপাতালের বাসা লকডাউন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় বর্তমানে মিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুলিশ পাহারা দিয়ে রেখেছে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিসের করোনা হট লাইনে নিযুক্ত মেডিকেল অফিসার ডা. নজমুল মুনীর জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মিত পিসিআর ল্যাবে সংগৃহিত ২৯ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছিল। এছাড়া শনিবার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪ জন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় একজন নারী চিকিৎসকের পজিটিভ আসে। তিনি আজও মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ছিলেন।

এছাড়াও দৌলতপুর উপজেলাতেও তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের বাড়ি উপজেলার লাউবাড়িয়া, তেকালা এবং ফিলিপনগরে। আক্রান্তরা সবাই পুরুষ।

জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়া শহরে একজন ব্যাংকার, কুমারখালীতে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ও খোকসায় ঢাকা ফেরত এসবি পুলিশের একজন এসআই করোনা শনাক্ত হন। পরের দিন নতুন করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাকিব আল ইমরানসহ (২৮) কুমারখালীর এক বৃদ্ধের করোনা শনাক্ত হয়।

এ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে তফিকুল ইসলাম (৩১) ও তার স্ত্রী শিল্পী আরা খাতুন (২৫) নামে করোনা আক্রান্ত এক দম্পতি রাজবাড়ী জেলায় পুলিশের হাতে আটক হন। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামে। পরে তাদের কুষ্টিয়া নিয়ে এসে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এই দুজনকে দিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় মোট ১১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হলে। এর মধ্যে ঢাকার এসবিতে কর্মরত পুলিশের এসআই কাজী আতাউলের (৩৫) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এর আগে আক্রান্ত ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাকিব আল ইমরানকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বাকিরা প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে ও হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া জেলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিদ্দিরগঞ্জ, গাজীরপুর থেকে আগত ৩ হাজার ৫৩ জন মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

আল-মামুন সাগর/এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।