শ্রমিক সঙ্কট দূর করলেন মাশরাফি, কৃষকদের ধান কাটবে মেশিন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সঙ্কটে বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। এ সময় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা।

কৃষকদের ধান কাটতে কম্বাইন হারভেস্টার এবং একটি রিপার মেশিন দিয়েছেন মাশরাফি। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সামনে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা মেশিন দুটি কৃষকদের হাতে তুলে দেন।

মাশরাফির নির্দেশনায় তার প্রতিনিধি তাইজুল ইসলাম, হারভেস্টার ক্রয়কারী হবখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষক রিয়াজুল ইসলাম চঞ্চল এবং রিপার ক্রয়কারী নড়াইল পৌরসভার বিজয়পুর এলাকার কৃষক মো. আকছির শেখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ২১ এপ্রিল কৃষি মন্ত্রণালয়ে নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি একটি ডিও লেটার পাঠান। ওই লেটারের ভিত্তিতে নড়াইল জেলার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে দুটি কম্বাইন হারভেস্টার ও তিনটি রিপার মেশিন বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে সদরে একটি কম্বাইন হারভেস্টার ও দুটি রিপার এবং কালিয়া উপজেলায় একটি কম্বাইন হারভেস্টার ও একটি রিপার মেশিন দেয়ার কথা বলা হয়। জেলার চাহিদার ভিত্তিতে পরে আরও চারটি কম্বাইন হারভেস্টার দেয়া হবে।

Masrafi-(2)

কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন প্রতি ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, পরিষ্কার এবং বস্তাবন্দি এবং রিপার মেশিন ৫০ শতাংশ জমির ধান কাটতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, জেলায় এবার ৪৭ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরা ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন। স্মরণকালের মধ্যে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে ধানের।

চিন্ময় রায় আরও বলেন, জেলার চাহিদা থাকায় সদরের জন্য আরও তিনটি এবং লোহাগড়া উপজেলার জন্য একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার আনার প্রক্রিয়া চলছে। অত্যাধুনিক এসব মেশিন জেলার কৃষি শ্রমিক সঙ্কট মোকাবিলায় এবং কৃষকরা দ্রুত সময়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।

হাফিজুল নিলু/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।