ঢাকা থেকে পালানো সেই দম্পতির সন্তানও করোনায় আক্রান্ত
কুষ্টিয়া জেলায় এবার এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী ও শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর নাম সুপ্রিয়া রাণী পাল (২৭)। তিনি মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন।
আক্রান্ত শিশুর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামে। ফাতেমা (৪) নামে শিশুটিতে কুষ্টিয়ায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। শিশুটির পিতা-মাতাও করোনায় আক্রান্ত। তারাও কুষ্টিয়ায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম নতুন করে এই দুজনের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুজনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
সিভিল সার্জন জানান, রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাসকারী দম্পতি তফিকুল ইসলাম (৩১) ও তার স্ত্রী শিল্পী আরা খাতুন (২৫) করোনা পজিটিভ নিয়ে একমাত্র কন্যা ফাতেমাসহ গত ২৪ এপ্রিল পালিয়ে কুষ্টিয়ায় আসার সময় পথিমধ্যে রাজবাড়ি জেলায় পুলিশের হাতে আটক হন। পরে তাদের কুষ্টিয়ায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
তবে আক্রান্ত তফিকুল ইসলাম সেসময় চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পরীক্ষায় তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের পজিটিভ আসলেও মেয়ে ফাতেমার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল কুষ্টিয়ায় পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় কুষ্টিয়ায় একদিনে এক আওয়ামী লীগ নেতা, এক উপজেলা চেয়ারম্যান, এক এসিল্যান্ড, সরকারি হাসপাতালের দুজন চিকিৎসক, দুটি পরিবারের ৯ জন সদস্যসহ ১৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ জনে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত ২৬ এপ্রিলের পরীক্ষায় যে ১৭ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে তাদের পুনরায় পরীক্ষা করার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। যার রিপোর্ট ২৯ এপ্রিল হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে।
আল-মামুন সাগর/জেডএ/পিআর