পালালেন করোনা আক্রান্ত আসামি, ২৩ চিকিৎসক-নার্স কোয়ারেন্টাইনে

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০ জন চিকিৎসক, ১৩ জন নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের তালিকা করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আবদুর রশিদ।
ডা. আবদুর রশিদ বলেন, গতকাল সোমবার (০৪ মে) শরীয়তপুরে দুই নারীসহ চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সের বাসার গৃহপরিচারিকা। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাই সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাময়িক লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
কারণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১০ জনসহ তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত লকডাউন থাকবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত ১৩ জন রোগী নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকবেন। জরুরি প্রয়োজনে সবাইকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, গোসাইরহাটের আলাওলপুর ইউনিয়নের করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি যৌতুক মামলার আসামি। নারায়ণগঞ্জ থেকে আলাওলপুর এলাকার বাড়িতে ফিরলে ১ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর,বি-তে পাঠানো হয়। সোমবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে তার। তখন তাকে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু তিনি পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলমগীর হুসাইন বলেন, গোসাইরহাট উপজেলায় এই প্রথম দুইজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে একজন গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সের বাসার গৃহপরিচারিকা। তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা হয়। পাশাপাশি আলাওলপুর ইউনিয়নে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই তার বাড়িসহ আশপাশের পাঁচ বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মো. ছগির হোসেন/এএম/জেআইএম