নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়পুরহাট গিয়ে একসঙ্গে ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নারায়ণগঞ্জফেরত ১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলায় একজন, পাঁচবিবি উপজেলায় পাঁচজন, সদর উপজেলায় তিনজনসহ জেলায় একদিনে ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সবমিলিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে। এতে করে রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত জেলা জয়পুরহাট।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে পাঠানো রিপোর্টে ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮২ জনের নেগেটিভ হলেও ১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর আগে সোমবার রাতে ঢাকার আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে জয়পুরহাটের ১৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫৯ জনের নমুনা নেগেটিভ হলেও আটজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
দ্বিতীয় দফার রিপোর্টে করোনা আক্রান্ত ১৪ জনই নারায়ণগঞ্জফেরত কালাই উপজেলার মাদারপুর জিন্দারপুর গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে ২২ থেকে ৩২ বছরের তিনজন, ১৯ থেকে ২৮ বছরের পাঁচজন, ৪০ থেকে ৪৩ বছরের চারজন, ১৫ বছরের কিশোর এবং তিন বছরের শিশু রয়েছে। তারা নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টস ও বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত।
প্রথম দফার রিপোর্টে আক্রান্ত আটজন হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাবা-ছেলে-পুত্রবধূ, সমসাবাদ গ্রামের ভারতের তীর্থস্থান থেকে ফিরে আসা ৫৫ বছরের এক নারী, নন্দাইল গ্রামের ১৭ বছরের এক কিশোর। এছাড়া সদর উপজেলার হানাইল গ্রামের ৪৭ বছরের স্বাস্থ্য সহকারী, উত্তর জয়পুর গ্রামের ৪০ বছরের এক নারী, জয়পুরহাট পৌর শান্তিনগর এলাকার ভাড়াটিয়া ৩২ বছরের যুবক জুপিটার ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশিক আহমদ জেবাল বাপ্পী বলেন, করোনায় আক্রান্ত ১৪ জন নারায়ণগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসযোগে কালাইয়ের মাদারপুর জিন্দারপুর গ্রামে এসেছেন। তাদের আটক করে জয়পুরহাটের টিটিসি কেন্দ্রের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে ১৪ জন আক্রান্ত হন। এরা নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন পেশায় জড়িত।
জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বলেন, ২৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ২৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের সবাইকে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশন কেন্দ্রে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
রাশেদুজ্জামান/এএম/পিআর