সীমিত আকারের ঈদবাজারে পা ফেলার জায়গা নেই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৯:০৬ পিএম, ১২ মে ২০২০

নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অসংখ্য ক্রেতার ভিড় বলে দিচ্ছে জমে উঠেছে ঈদবাজার। মার্কেটে পা ফেলার জায়গা নেই। যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন সবাই। মানা হয় না স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব।

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি উপেক্ষা করে পাবনায় শহরের সব বিপণিবিতানে এভাবেই চলছে বেচাকেনা। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেঁধে দেয়া সময়ে চলছে জমজমাট কেনাবেচা।

শহরের সব মার্কেটে এবং শহরের মার্কেট এলাকায় নারী-পুরুষসহ ক্রেতাদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কোনো মার্কেটে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি। এ নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। সেই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

করোনা সঙ্কটের শুরু থেকে পাবনায় ৯ মে পর্যন্ত অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। সীমিত আকারে মার্কেট খোলার সরকারি ঘোষণার পর ১০ মে থেকে পাবনা চেম্বার অব কমার্স স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানপাট খোলার ঘোষণা দেয়।

মঙ্গলবার (১২ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনা শহরের হাজি মহসিন রোড, আওরঙ্গজেব রোড, নিউ মার্কেট রোড, সোনাপট্টি, দই বাজারসহ অভিজাত বিপণিবিতান খান বাহাদুর মার্কেট, এআর প্লাজা, এআর কর্নার, রবিউল মার্কেটে জমজমাট কেনাবেচা চলছে। কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি।

তবে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে রিকশা ও অটোবাইক চলাচলে পুলিশ কড়াকড়ি আরোপ করায় তুলনামূলক জনসমাগম কম আছে এখানে।

পাবনা থানা পুলিশের ওসি নাসিম আহম্মেদ বলেন, পুলিশ সব সামাল দিতে পারে না। ব্যবসায়ী- ক্রেতাসহ সবারই সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। মার্কেট কর্তৃপক্ষকে বার বার নিয়ম মানতে বলা হয়েছে। কেউ মানছে না। আমরা কী করব?।

পাবনায় এ পর্যন্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দুই হাজারের উপরে রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে। সাড়ে ৭০০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালেও রিপোর্ট এসেছে সাড়ে ৩০০ জনের।

একে জামান/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।