ভাই-বোন বাড়ি গিয়ে মা-নানিকে করোনায় আক্রান্ত করলেন
করোনাভাইরাসের হটস্পটখ্যাত নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আসা একই পরিবারের চার নারীসহ পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার (১৩ মে) উপজেলার নবীপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশগ্রামের ওই পরিবারের পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেয়। আক্রান্তদের মধ্যে ওই পরিবারের তিনজনই নারায়ণগঞ্জের একটি কোম্পানিতে কাজ করেন।
শনিবার তারা করোনার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে আসেন। খবর পেয়ে পরদিন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে উপজেলায় বুধবার নতুন করে আরও ১০ জনের করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে আগেই করোনার উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আলম এসব তথ্য জানান।
ডা. নাজমুল আলম বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি কোম্পানিতে কর্মরত যুবক পরিবার নিয়ে বাড়িতে আসার পর রোববার পরিবারের পাঁচজনের নুমনা সংগ্রহ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসায় তাদের নিয়ে আমাদের আশঙ্কা যা-ই ছিল তা-ই হয়েছে। বুধবার পাঁচজনেরই করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ওই যুবক ছাড়াও তার মা, নানি এবং কোম্পানিতে কর্মরত তার দুই বোন রয়েছেন।
এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মারা যাওয়া সদর ইউনিয়নের নাগেরকান্দি গ্রামের এক যুবকের (২৫) করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছে। বুবধার নতুন আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলা সদরের বাসিন্দা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি, নবীপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের একজন ও পাহাড়পুর ইউনিয়নের সুরানন্দী গ্রামের দুইজন রয়েছেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, বুধবার জেলায় নতুন করে ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের মধ্যে চার নারীসহ ১০ জন মুরাদনগরের বিভিন্ন গ্রামের এবং দুইজনের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলায়। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭১ জনে।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা থেকে মোট তিন হাজার ৯৯৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে তিন হাজার ৪৫৩ জনের। বুধবার একজনের মৃত্যুসহ এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়জনে। এর মধ্যে সাতজনের বাড়িই দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ছয়জন। মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯ জনে।
মো. কামাল উদ্দিন/এএম/এমএস