ফেসবুকে প্রেম, প্রথম দেখাতেই কলেজছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের পর অভিভাবকের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছে বখাটেরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল এলাকার একটি বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কলেজছাত্রীকে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ জানায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রিমন হাওলাদার তানভীরের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় কলেজছাত্রীর। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২৬ মে তানভীর তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে নাজিরপুরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। প্রথম দেখার দিনই মোটরসাইকেলযোগে কলেজছাত্রীকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিয়ে যাচ্ছিল তানভীর ও তার বন্ধু।
পথিমধ্যে কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল এলাকায় বখাটে রিপন জমাদ্দার, আফজাল ও রাকিবসহ কয়েকজন যুবক তানভীর, তার প্রেমিকা এবং বন্ধুকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ওই ছাত্রীকে পাশের বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে তারা।
পরে তিনজনকে স্থানীয় হোসনেয়ারা বেগমের ঘরে তিনদিন ধরে আটকে রেখে অভিভাবকদের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তানভীরের অভিভাবক বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকা বখাটেদের হাতে তুলে দিতে যান। এ সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় বখাটে রিপন জমাদ্দারকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হোসনেয়ারা বেগম, তার মেয়ে, বখাটে আক্কাস, বেল্লাল ও রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।
কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, কলেজছাত্রী, তার প্রেমিক তানভীর ও বন্ধু রায়হানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে তারা।
এএম/জেআইএম