পাবনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা হলেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার আজহার উদ্দিন (৪৫), পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুরের জেমস সুব্রত গোস্বামী (৫০) এবং আরিফপুরের আছিরউদ্দিন সরদার স্কুলের শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন (৬৫)। এদের মধ্যে জেমস খ্রিষ্টান। ফাদারের নির্দেশনায় তাকে সমাহিত করেছেন মুসলিম যুবকরা।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন, জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আজহার উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উত্তরসারুটিয়া মহল্লার নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি ওই মহল্লার খোরশেদ আলী খোকার ছেলে। তাকে তার স্বজনরা বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসক তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু তার স্বজনরা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে, পাবনা পৌর সদরের স্কুলশিক্ষক আশরাফ উদ্দিন মারা গেছেন শুক্রবার। মৃত আশরাফ উদ্দিনকে তার স্বজনরা পাবনা সদর উপজেলার আরিফপুর কবরস্থানে দাফন করেন।
পাশাপাশি করোনার উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার মারা যান পাবনা শহরের মিশন হাউজের জেমস সুব্রত গোস্বামী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে পাবনার আরিফপুর বয়েজ হোস্টেল খ্রিষ্টান কবরস্থানে সমাহিত ক করেন মুসলিম যুবকরা।
তাকে দাফনকারী স্বেচ্ছাসেবী মুসলিম যুবকদের একজন তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবী দলে ১২ জন সদস্য রয়েছেন। তারা সবাই মুসলিম। আমাদের দলে দুজন নারী সদস্য রয়েছেন। নারীদের গোসল করানোর কাজে সহযোগিতা করেন দুই নারী স্বেচ্ছাসেবী।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল বলেন, ওই তিনজন নিজ নিজ বাড়িতে করোনার উপসর্গ জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনার পুলিশ সুপারসহ ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় গত ১৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ১০। মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। পাশাপাশি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন তিনজন।
এএম/জেআইএম