করোনা কেলেঙ্কারিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২০

ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের পর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিক। অনুমোদনহীন মেডিকেয়ার ক্লিনিককে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়ে এখন সংকটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে প্রতারণায় অভিযুক্ত মেডিকেয়ার ক্লিনিককে ‘বিশ্বাস করে’ নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিল বলে দাবি করে করেছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান জানায় তারা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন আছে কি-না সেটি যাচাই না করেই রূপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিকেয়ার ক্লিনিকের সংগ্রহ করা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫০ জন কর্মচারী-শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। কিন্তু সরকারি অনুমোদন ছাড়া অবৈধ উপায়ে নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে মেডিকেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয় ঈশ্বরদী থানায়। ইতোমধ্যে ক্লিনিকটির মালিক আবদুল ওহাব রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদকেও অভিযুক্ত করা হয়। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট নিয়ে প্রতরাণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।

medical

সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান পিসিআর (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাবের ইনচার্জ ডা. জাকিউর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদেরকে সরবরাহ করা হবে মর্মে আমরা বিশ্বাস করে মেডিকেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। গত ৬ জুলাই সংগৃহীত ৫০টি নমুনা দেয়ার পরদিন আমাদেরকে কাগজপত্র সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্র দিতে না পারায় আমরা তাদের কাছ থেকে আর কোনো নমুনা গ্রহণ করিনি।

তিনি আরও বলেন, ৭ জুলাই ওই ৫০টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের মধ্যে ৩৯টি নেগেটিভ এবং ১১টি পজিটিভ এসেছে। আমাদের ল্যাবে পরীক্ষিত রিপোর্টগুলোতে কোনো ভুল নেই। অ্যানালাইসিসসহ এসব পরীক্ষার রিপোর্ট গ্রাফ পিসিআর মেশিনের মেমোরিতে সংরক্ষিত আছে। মামলায় আমাদের ল্যাবে পরীক্ষিত রিপোর্ট নিয়েও কোনো অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন মনগড়া ও মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক আশাদুল্লাহ মিয়া ও পিসিআর ল্যাব ইনচার্জ এসএম জুনায়েদ ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।