মির্জাপুরে গত চারদিনে করোনায় আক্রান্ত হননি কেউ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২০

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় কমে এসেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত এক সপ্তাহে উপজেলায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচজন। করোনা আক্রান্তের মাত্রায় অনেকদিন টাঙ্গাইলের শীর্ষে অবস্থানকারী মির্জাপুর উপজেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমে এসেছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৫ জন। এর মধ্যে মির্জাপুর উপজেলায় মাত্র পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

মির্জাপুরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৭ এপ্রিল। এরপর থেকে লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণের হার। জুনের প্রথম ১৫ দিনে এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয় শতাধিক। ওই সময় টাঙ্গাইলের মধ্যে মির্জাপুরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

স্থানীয় প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সেনা-পুলিশ টহল, কাঁচাবাজার স্থানান্তর, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতেও নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৬ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত টানা ১৭ দিন পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়।

লকডাউন শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ২০ জুলাইয়ের পর করোনা সংক্রমণের মাত্রা কমে আসে। গত এক সপ্তাহের হিসাবে দেখা গেছে, ৩১ জুলাই দুইজন এবং ২ আগস্ট তিনজন করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর টানা চারদিন কেউ আক্রান্ত হননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম বলেন, টানা ১৭ দিনের লকডাউন, বন্যার কারণে মানুষের অবাদ চলাচল কমে যাওয়া এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মির্জাপুরে করোনা সংক্রমণের মাত্রা কমেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং গোড়াই শিল্পাঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ায় মির্জাপুরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে চূড়ান্ত সফলতার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। এজন্য উপজেলা প্রশাসন তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।

এস এম এরশাদ/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।