হিরকের স্ত্রীও চলে গেলেন না ফেরার দেশে, বেঁচে রইলো ছোট্ট হুমায়রা
যশোরে প্রাইভেটকারে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত প্রকৌশলী হিরকের স্ত্রী শাওন (৩২) ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হেরে গেলেন। বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এনিয়ে গাড়িতে থাকা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলেন। বেঁচে রইলো হিরকের দেড় বছরের কন্যা সন্তান হুমায়রা। গত ১৬ অক্টোবর যশোরের নওয়াপাড়ায় রেলক্রসিংয়ে প্রাইভেটকারে ট্রেনের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন নিহত হয়।
জানা গেছে, প্রকৌশলী হিরকের স্ত্রী শাওনকে তার বাবার বাড়ি রাজবাড়ী শহরের চর লক্ষ্মীপুর এলাকায় দাফন করা হবে। হিরকের মেয়ে হুমায়রা এখন রাজবাড়ীতে নানা মো. হারুনুর রশিদ ও নানি সালমা আক্তার মিনুর কাছে রয়েছে। সে এখন সুস্থের দিকে। দুর্ঘটনায় তার বাম হাত ভেঙে যায়।
এদিকে এ দুর্ঘটনার পর হুমায়রার এক ফুফু ছাড়া পিতৃকূলের আর কেউ বেঁচে রইলো না।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার মৃত সালাউল্লাহ ভূইয়ার ছেলে প্রকৌশলী হিরক ভূইয়া (৩৫), তার বড় বোন শিল্পী বেগম (৪২), স্ত্রী শাওন (৩০), ভাতিজি রাইসা (৭) এবং তার বন্ধু শহরের রূপগঞ্জ এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম (৩৪) যশোরের নওয়াপাড়া যাচ্ছিলেন। বিকেলে নওয়াপাড়ার ভৈরব সেতু রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় হিরক, তার বোন শিল্পী, ভাতিজি রাইসা ও বন্ধু আশরাফুল নিহত হন।
হাফিজুল নিলু/আরএআর/এমকেএইচ