নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা, কিন্তু...

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
ফাইল ছবি

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সামাদ মিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৫ জন এবং গ্রন্থাগারিক পদে ৯ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তমাল কান্তি দে কে এবং গ্রন্থাগারিক পদে বাবলী সরকারকে মনোনীত করা হয়।

সূত্র ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী একজন প্রার্থী জানান, চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রন্থাগারিক পদে এক চাকরি প্রত্যাশীর সঙ্গে ১ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সামাদ মিয়া। ৩০ নভেম্বর ওই চাকরি প্রত্যাশী কর্মকর্তার মৌলভীবাজার পৌর শহরের শমসেরনগর রোডের বাসায় গিয়ে ১ লাখ টাকা দিয়ে আসেন।

২ ডিসেম্বর ওই কর্মকর্তা চাকরি প্রত্যাশীকে হাতে লেখা ৮টি প্রশ্ন দিয়ে বলেন এগুলো পরীক্ষায় আসবে। কিন্তু পরীক্ষায় ১টিও আসেনি।

এদিকে নিয়োগ বোর্ডের অপর এক সদস্য ওই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ৩ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি করেন। তাকেও ১ লাখ টাকা দেয়া হয়। বাকি টাকা চূড়ান্ত নিয়োগের সময় দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সামাদ মিয়া বলেন, প্রার্থীরা মাঝে মধ্যে আমার কাছে সম্ভাব্য কিছু প্রশ্ন চান। তেমনভাবে ওই স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষায় এক প্রার্থীকে কয়েকটি প্রশ্ন দিয়েছি। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এফএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।