‘খুশির ঝুড়ি’ নিয়ে অসহায়দের পাশে কলেজছাত্রী সাদিয়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে নারীদের স্বার্থ-রক্ষায় এবং দেশপ্রেমী হিসেবে উদীয়মান সংগঠকের সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে কলেজশিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান মনি। বিচরণ রয়েছে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও। কাঁঠালিয়ায় সমাজ সচেতনতায় কোনো আলোচনা সভা হলেই বক্তব্যের জন্য স্টেজে ডাকা হয় তাকে।

স্টেজে পদার্পণ করে তিনি সাবলীল ভঙ্গিতে সমাজের সচেতনতার বিষয়গুলো তুলে ধরে মানবিক দিকে অগ্রসর হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। সেই নারীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও কথা বলেন সাদিয়া। তরুণী সাদিয়া কাঁঠালিয়া উপজেলার মনস্বিতা মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত।

কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করে প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। বেসরকারি সংস্থার আয়োজনে কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নে জেগে ওঠা বিশাল ছৈলারচরে সম্প্রতি এক আনন্দভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বরিশাল বিভাগীয়, ঝালকাঠি জেলা, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, বরগুনার আমতলীসহ কয়েকটি জেলার বিশিষ্ট এনজিও ব্যক্তিরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অংশগ্রহণকারী অতিথির আগমন উপলক্ষে স্বরচিত সঙ্গীত পরিবেশন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন সাদিয়া জাহান মনি। ‘স্বাগতম স্বাগতম স্বাগতম জানাই, ছৈলারচরে আগমনকারীদের স্বাগতম জানাই, মোরা ধন্যবাদ জানাই’ বলে অভিবাদন সঙ্গীত পরিবেশন করে সবার মন জয় করেন তিনি।

কাঁঠালিয়ার দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্রদের কথা চিন্তা করে উপজেলা সদরে স্থাপন করেছেন ‘খুশির ঝুড়ি’। এ বাক্সে বিত্তবানরা খাবার কিনে রাখবেন এবং অসহায় দরিদ্ররা প্রয়োজনে সেখান থেকে বিনামূল্যে খাবার নিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করবেন। কয়েকটি দোকানে এমন খুশির ঝুড়ি রাখার কারণে কাঁঠালিয়ায় এমন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত শুরু করেন বহু প্রতিভার অধিকারী সাদিয়া জাহান মনি।

jagonews24

তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ঝালকাঠি জেলা শহরের সাধনার মোড়েও স্থাপন করা হয় খাবার ঝুড়ি। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘ঝুড়ির খাবার অসহায় দরিদ্রদের জন্য’।

এছাড়া সাদিয়া জাহান মনি বাল্যবিয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ কার্যক্রম এবং কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে মনি কয়েকটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে উপজেলাব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন।

সাদিয়া জাহান মনি কাঁঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক হাওলাদারের মেয়ে। মনির বাবা ২০১৮ সালে স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে মনি সবার ছোট।

তিনি জানান, দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যক্তিগত এবং বেসরকারিভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। আমরণ এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

মো. আতিকুর রহমান/এমআরএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।